HomeBharatসময়ের আগেই বিহার-প্রতিবেশি রাজ্যে সম্ভবত সরকার গড়ছে বিজেপি

সময়ের আগেই বিহার-প্রতিবেশি রাজ্যে সম্ভবত সরকার গড়ছে বিজেপি

- Advertisement -

ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে ফের জমে উঠেছে জল্পনার পারদ। সূত্রের খবর অনুযায়ী নয়াদিল্লিতে বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) প্রধান হেমন্ত সোরেন এবং তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনের বৈঠক ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক আলোচনা। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, রাজ্যের ক্ষমতার সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে।

কাল ভোররাতে শহরে আসছেন দিমি?

   

গত কয়েকদিন যাবৎ দিল্লিতে রয়েছেন হেমন্ত সোরেন ও তাঁর স্ত্রী। বুধবার তাঁদের রাঁচি ফেরার কথা হলেও এই সফরের উদ্দেশ্য এবং একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনার পরিধি নিয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন একটাই, জেএমএম কি নতুন জোটের পথে হাঁটছে?

সংখ্যার রাজনীতি: কোন পক্ষে ভারী হিসেব?

৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১ আসন। বর্তমানে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-বামের জোট সরকার ৫৬টি আসনের দখলে আছে। এর মধ্যে—

জেএমএম: ৩৪

কংগ্রেস: ১৬

আরজেডি: ৪

বাম দল: ২

অন্যদিকে বিজেপির দখলে ২১টি আসন এবং এলজেপি, জেডিইউ ও এজেএসইউ-র একজন করে বিধায়কের সমর্থন পেলে বিজেপি-জেএমএম সম্ভাব্য জোট ৫৮ আসনের শক্তি পেতে পারে। এক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় অনেকটাই বেশি।

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে—কংগ্রেসের অন্তত আটজন বিধায়কও হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনে আগ্রহী। দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতে তাঁদের সংখ্যা ১১ তে পৌঁছানো প্রয়োজন।

কেন বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন হেমন্ত সোরেন?

১. বিহার নির্বাচনে জেএমএমের ব্যর্থতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ আসনে দাঁড়িয়ে একটিও জয় না পাওয়া জেএমএমের কাছে বড় ধাক্কা। এই ফলের পর থেকেই কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে জোট নিয়ে পুনর্বিবেচনায় বসেছে জেএমএম নেতৃত্ব।

২. ইডি তদন্ত ও আইনি চাপ

দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই একবার ইডির গ্রেফতারির মুখে পড়েছেন হেমন্ত। নতুন বিল অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৩১ দিনের মাথায় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ বাধ্যতামূলক হতে পারে। ফলে হেমন্ত শিবিরের শঙ্কা আরও বেড়েছে।

৩. ‘ভারত রত্ন’ জল্পনা

প্রয়াত শিবু সোরেনকে কেন্দ্র সরকার ভারত রত্ন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। এমন খবর আলোড়ন ফেলেছে জেএমএমের অভ্যন্তরে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সম্মান জেএমএম–বিজেপি সম্পর্ককে আরও ‘উষ্ণ’ করতে পারে।

দুই দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হতে পারে চিত্র

দ্য সানডে গার্ডিয়ান’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্ভাবনা স্বীকার করেছেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশও। হেমন্ত সোরেন ও বিজেপি নেতৃত্বের বৈঠকের কথাও তাঁরা নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের মতে, “আর দুই দিনেই চিত্র পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

সবমিলিয়ে, ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে নতুন উত্তাপ। কে কার সঙ্গে যাবে, কোন জোট টিকবে, আর কোনটি ভাঙবে—এই প্রশ্নগুলো এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। তবে এতটুকু নিশ্চিত, হেমন্ত সোরেনের দিল্লি-দৌড় রাজ্যের রাজনীতির পথরেখা নতুন করে আঁকছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular