সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সরকারি মোবাইল অ্যাপ ‘সঞ্চার সাথী’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ, নাগরিকরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন, বাধ্য হয়ে নয়। এই মন্তব্য প্রযুক্তি এবং নাগরিকের গোপনীয়তা সংক্রান্ত আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।
‘সঞ্চার সাথী’ হল একটি সরকারি উদ্যোগ, যার মূল উদ্দেশ্য হলো যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য আরও সহজ এবং নিরাপদভাবে প্রদান করা। অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ট্রেন, বাস বা অন্যান্য পরিবহন মাধ্যমের সময়সূচি, রুট, টিকিট সংক্রান্ত তথ্য এবং অন্যান্য যাতায়াত সংক্রান্ত সুবিধা পেতে পারেন। বিশেষভাবে বলা যায়, এটি একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেখানে যাত্রীরা তাদের যাত্রা আরও পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্টভাবে করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে যে বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে তা হলো — নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা। অনেক নাগরিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাদের তথ্য শেয়ার করতে অনিচ্ছুক হতে পারেন। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা যে অ্যাপটি বাধ্যতামূলক নয়, তা অনেকের কাছে স্বস্তিদায়ক হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এটি নাগরিকদের ওপর সরকারের আস্থার প্রতিফলনও বহন করছে।
‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ ব্যবহার করলে নাগরিকরা অনেক সুবিধা পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, রিয়েল টাইমে যাতায়াতের তথ্য পাওয়া, যাত্রার পূর্বে টিকিট বুকিং বা স্লট সংরক্ষণ করা, যাত্রাপথে জরুরি অবস্থা বা বিলম্বের তথ্য জানা — এগুলো সবই অ্যাপের মাধ্যমে সহজ হয়। এছাড়া, এই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারও ট্রাফিক এবং যাত্রী গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যা ভবিষ্যতে পরিসেবা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
