সোনার চেয়েও অনেক দামী অসমের এই চা

সকলেই জানেন যে উত্তর পূর্ব ভারতের অসম রাজ্য চা চাষের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। অসম একাধিক জাতের চা চাষ করা হয় এবং সারা বিশ্ব থেকে…

সকলেই জানেন যে উত্তর পূর্ব ভারতের অসম রাজ্য চা চাষের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। অসম একাধিক জাতের চা চাষ করা হয় এবং সারা বিশ্ব থেকে ক্রেতারা মোটা দামে তা কিনে থাকেন। তবে নতুন করে নিলামে অসমের বিভিন্ন ধরনের চা নতুন রেকর্ড গড়েছে।

নিলামে প্রভোজন গোল্ড টি জাতের এক কেজির জন্য ১ লক্ষ টাকার বিড পাওয়া গেছে, যা এই বছর এখনও পর্যন্ত যে কোনও ধরণের চায়ের জন্য পাওয়া সর্বোচ্চ দাম। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোমবার জোড়হাট চা নিলাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নিলামে সোনার চা এই দাম পেয়েছে। ব্যাঙ্কোয়েট অর্গ্যানিক টি এস্টেট নিলামে আসামের চা ব্র্যান্ড এশাহ টি-র কাছে বিক্রি করেছে৷

ভোজের টি’র বিশেষত্ব হল, এর রঙ উজ্জ্বল হলুদ ওয়াইনের মতো জ্বলজ্বল করে। নিলামে যে সংস্থা এটি কিনেছিল, সেই সংস্থা এশাহ টি-র সিইও বিজিত শর্মা জানিয়েছেন, এই জাতটি কিনে তিনি তাঁর গ্রাহকদের অসমের অন্যতম বিলাসবহুল চা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রভোগেন অর্গানিক টি এস্টেটের মালিক রাখি দত্ত সাইকিয়া বলেন, “আমরা এই জাতের এক কিলো চা উৎপাদন করেছিলাম। রেকর্ড ভাঙা দাম পেয়ে আমরা খুশি। এই দামটি অসমের চায়ের হারানো সম্মান ফিরে পেতে সহায়তা করতে পারে। এই ধরনের প্রিমিয়াম মানের বিশেষায়িত চায়ের বিশাল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই জাতটি প্রথমবারের মতো উত্পাদিত হয়েছিল। এটি চায়ের অনন্য জাতগুলির মধ্যে একটি।”

এর আগে গত বছরও আসাম থেকে আসা বিভিন্ন চায়ের দাম এক কিলোর বিনিময়ে এক লক্ষ টাকা করে পাওয়া গিয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে গুয়াহাটি টি নিলাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নিলামে মনোহরি গোল্ড টি এই দুর্দান্ত দাম পেয়েছিল। এটি ডিব্রুগড় জেলায় উত্পাদিত হয়েছিল। মনোহরী বৈচিত্র্যও বেশ বিশেষ জাতগুলির মধ্যে একটি। মনোহরি গ্রুপ তার তিনটি চা এস্টেটে এই জাতের ২৫ কেজি উৎপাদন করে। সংস্থাটি ২০১৮ সাল থেকে গোল্ড জাতের চা উৎপাদন করছে। ২০১৮ সালে প্রথমবার এই চায়ের কিলোর দাম ছিল ৩৯,০০১ টাকা।

প্রভোজন গোল্ড টি আর মনোহরি গোল্ড টি সবচেয়ে দামি চায়ের রেকর্ড ছিল ‘গোল্ডেন বাটারফ্লাই’-এর নামে।