Tea: কীটনাশকে বিষাক্ত ভারতীয় চা কিনতে বিশ্ববাজারে প্রবল অনীহা

ভারতীয় চায়ের রফতানি ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতি আসছে। কারণ, বিভিন্ন দেশ বিশেষত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলি ভারতীয় চায়ে অতিরিক্ত কীটনাশকের উপস্থিতিতে চিন্তিত। এর ফলে বাতিল হচ্ছে রফতানি চালান।…

ভারতীয় চায়ের রফতানি ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতি আসছে। কারণ, বিভিন্ন দেশ বিশেষত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলি ভারতীয় চায়ে অতিরিক্ত কীটনাশকের উপস্থিতিতে চিন্তিত। এর ফলে বাতিল হচ্ছে রফতানি চালান।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, ভারতীয় চা-চাষ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক দিয়ে। এর জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের একাধিক চায়ের চালান বাতিল হয়েছে। ইন্ডিয়ান টি এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনেপ চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া জানিয়েছেন পরিস্থিতি উদ্বেগের। দেশের চা বাণিজ্যে বড় আঘাত আসল।

পিটিআই জানাচ্ছে, চা রফতানিকারকরা উদ্বেগে। তারা বলছেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতির সময় চা রফতানিতে ধাক্কা এসেছিল। এখন মহামারির পরিস্থিতি কাটিয়ে কিছুটা গতি পেয়েছিল ভারতের চা রফতানি বাজার। তবে যেভাবে কীটনাশক বহুল চা রফতানি চালান বাতিল হতে শুরু করেছে তাতে বড় আঘাত এসেছে দেশের চা বাণিজ্যে।

পিটিআই জানাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আরও এক চা রফতানি বাণিজ্যের দেশ শ্রীলংকা। সে দেশে চলছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট। শ্রীলংকার এমন পরিস্থিতির ফলে বিশ্ব চা বাজারে যোগান কমেছে। সেই সুযোগ নিতে ভারতীয় টি বোর্ড রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়।

চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রফতানি বাড়িয়ে দিতে উৎপাদন বৃদ্ধি জরুরি। ফলে চা বাগানগুলিতে অত্যাধিক পরিমাণ সার ও চা সংক্ষণে কীটনাশকের প্রয়োগ হয় মাত্রাতিরিক্ত। ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া জানান, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক আছে এমন চা কিনতে চাইছে না বেশিরভাগ ক্রেতা দেশগুলি।

ভারতের চা রফতানি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে ভারত ১৯ কোটি ৫৯ লাখ কেজি চা রফতানি হয়েছিল। এবার তার থেকে বেশি চাহিদা থাকলেও উচ্চমাত্রার কীটনাশক মেশানো চা নিতে আগ্রহী নয় কেউ।

ভারতের চা মূলত ইরান ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলিতে যায়। ভারতীয় চা আমদানির আগে আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা মাম খতিয়ে দেখে বাতিল হতে শুরু করেছে চালান। আন্তর্জাতিক বাজারে এই মান ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা মানের চেয়ে বেশি কঠোর।

যেহেতু চা একটি স্বাস্খ্যকর পানীয়ের তালিকায় পড়ে তাই মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক মেশানো ভারতীয় চায়ের বাজারে নেমেছে ধস।