ফের এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে বোমাতঙ্ক, টিস্যু পেপারে বোমা হুমকি,

সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বারংবার বোমাতঙ্কের হুমকি (Air India) আসছে, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।…

"Once Again, Air India Faces Bomb Threat—Warning Scribbled on Tissue Paper

সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বারংবার বোমাতঙ্কের হুমকি (Air India) আসছে, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। আমেদাবাদ বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক ঘটনা এখনও মানুষের মনে টাটকা থাকতেই ফের শুক্রবার সকালে মুম্বই থেকে দিল্লিগামী একটি(Air India) বিমানে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে। মুম্বই থেকে উড়ে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার ২৯৫৪ নম্বর ফ্লাইট দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী(Air India) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৫টা নাগাদ অবতরণ করে। সেই সময়, বিমানের একজন ক্রু সদস্য কেবিন পরিষ্কার করার সময় একটি টিস্যু পেপার পান, যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল: “AI 2948 @T3, Bomb inside”। অর্থাৎ, টার্মিনাল ৩-এ অবস্থিত এয়ার ইন্ডিয়ার ২৯৪৮ নম্বর বিমানে বোমা রয়েছে।(Air India) 

   

তবে হুমকির বার্তায় যেই ফ্লাইট নম্বর উল্লেখ ছিল, সেটি আসলে মুম্বই-দিল্লি ফ্লাইট ছিল না। তবুও, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে, দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এয়ার ইন্ডিয়া সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা প্রটোকল কার্যকর করে। তড়িঘড়ি করে বিমানের সমস্ত যাত্রীকে নামিয়ে আনা হয়, তাদের ব্যাগপত্র, হ্যান্ডলাগেজ এবং অন্যান্য সামগ্রীকে গভীরভাবে পরীক্ষা করা হয়(Air India) 

বিমানের প্রতিটি অংশ খুঁটিয়ে দেখা হয়, স্নিফার ডগ ব্যবহার করে তল্লাশি চালানো হয়, এমনকি ককপিট ও লাগেজ কম্পার্টমেন্টেও তল্লাশি চালানো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই তল্লাশি অভিযান চললেও, শেষপর্যন্ত কোনও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি(Air India) 

এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,(Air India) “আমাদের এক উড়ানে বোমা রাখার হুমকি পাওয়া গিয়েছিল। আমরা সাথে সাথে আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল অনুসরণ করে সমস্ত যাত্রী, ক্রু এবং বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই পরবর্তী উড়ান ছাড়া হয়।”

Advertisements

এই ঘটনার পর থেকেই আবারও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নিরাপত্তা(Air India) আরও জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরে আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রতিটি ফ্লাইটের আগে বাড়তি নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সূত্রের খবর, গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআইএসএফ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঠিক কীভাবে সেই হুমকির বার্তাটি বিমানে পৌঁছালো এবং কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কেউ হয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে(Air India) 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মিথ্যা বোমাতঙ্ক শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করে না, বরং যাত্রীদের মানসিক চাপের মধ্যেও ফেলে দেয়। তারা বলছেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, তবে সঙ্গে সঙ্গে এমন ভুয়ো হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়াও সময়ের দাবি(Air India) 

এই ঘটনার জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হলেও, এয়ার ইন্ডিয়া ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও পেশাদার পদক্ষেপ পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করেছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এরকম ভুয়ো হুমকি বারবার কেন? এর পেছনে কি কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে? তদন্তই দেবে সেই প্রশ্নের উত্তর(Air India)