দিঘা: আগামী ২৭ মে রথযাত্রার দিন (Rath Yatra) দিঘা জগন্নাথ মন্দির রথের দড়ি টানবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে দিঘা জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত তিনটি রথ মহড়া হল। এক প্রকার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। তিনটি রথ টানা মহড়া ঘিরে সৈকত নগরীর দিঘায় পুলিশের নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়।
কলকাতার ইসকনে সহ সভাপতি তথা দিঘা জগন্নাথ ট্রাক্স কমিটির সদস্য রাধারামন দাস বলেন ” সুস্থভাবে পরিদর্শন করতে পারে। প্রশাসন সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে৷”
উল্লোখ্য, রথে যাতে কোনরকমে ত্রুটি না থাকে তার জন্য জেলা ও রাজ্যস্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে দিঘায় দফায় দফায় বৈঠক করলেন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমত রথযাত্রা পরিচালনার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কী না তা নিয়ে পর্যালোচনা করেন মন্ত্রী। জানাগেছে, জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের ধাঁচেই রথযাত্রার দিন যাবতীয় আয়োজন রেখেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য পুরনো দিঘা থেকে নতুন দিঘা পর্যন্ত রাখা হবে বেশ কিছু পানীয় জলের ক্যাম্প। পিএইচির তরফ থেকে জলের পাউচ বিতরণ করা হবে ওই সমস্ত ক্যাম্প থেকে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য বাইরের জেলাগুলি থেকেও আসবে অতিরিক্ত পুলিশ। রথযাত্রায় যাতে বিদ্যুতের কোনোরকম অসুবিধে না হয় সে বিষয়ে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়।
কথিত আছে, জগন্নাথের রথের রশি স্পর্শ করলে পূর্ণ অর্জন হয়। তাই রথের দিন সৈকত শহর দিঘায় যে বিপুল জনসমাগম হবে ইতিমধ্যে নবান্নের বৈঠক থেকে তার আভাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত থাকবে বেশ কয়েকটি মেডিকেল ক্যাম্প।
সেখানে চিকিৎসকদের পাশাপাশি রাখা হবে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঔষধপত্র। উদ্বোধনের ধাঁচেই দশটির বেশি দমকল এবং অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রথযাত্রার সময়। এছাড়াও সকলে যাতে রশিতে স্পর্শ করতে পারে সেজন্য দীর্ঘ এক কিলোমিটার বিছানো থাকবে রথের রশি।
গোটা রথযাত্রার সময় নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হবে প্রায় তিন হাজার পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। উপস্থিত ছিলেন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দুই প্রধান সচিব, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
মন্ত্রী পুলক রায় বলেন ” মুখ্যমন্ত্রী রথযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যে নবান্নে বৈঠক করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন নির্দেশগুলি নিয়ে আমরা জেলাশাসকের উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করলাম। রথ জগন্নাথ মন্দির থেকে যাবে মাসির বাড়ি। গোটা এলাকা আমরা আমরা ঘুরে দেখেছি। মাসির বাড়িতেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। রথযাত্রায় যাতে কোনরকমে সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে “।