চার বছর পর ফের ভারত-চিন ‘এয়ার কানেক্ট’, মিলল সবুজ সংকেত

নয়াদিল্লি: চার বছর পর ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে। কোভিড অতিমারির পর থেকে যে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এবার…

চার বছর পর ফের ভারত-চিন ‘এয়ার কানেক্ট’, মিলল সবুজ সংকেত

নয়াদিল্লি: চার বছর পর ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে। কোভিড অতিমারির পর থেকে যে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এবার তা ফের চালুর বিষয়ে সম্মত হল দুই দেশ। শুক্রবার দিল্লিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলেছে এই ঐকমত্য।

বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি ও চিনের উপ বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েইডং-এর মধ্যে এই বৈঠক হয় রাজধানীতে। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কিছুটা স্বাভাবিকতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

   

কবে থেকে চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা?

যদিও ঠিক কবে থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়নি। তবে বৈঠকে দুই পক্ষেই বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিকভাবে দিল্লি-বেজিং রুটেই চালু হতে পারে পরিষেবা।

চলতি বছরেই ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একাধিক আলোচনার প্রসঙ্গ ওঠে। বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়টিও সেই সময় থেকেই আলোচনায় ছিল। দুই দেশের নাগরিকদের যাতায়াত ও ব্যবসায়িক সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রাও ফিরছে India China Direct Flights

উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই বৈঠকের ফলস্বরূপ, প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ফের কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা শুরু হতে চলেছে। জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে পুণ্যার্থীরা যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন বলে বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে। শুক্রবার বিক্রম মিস্রি সেই প্রসঙ্গে চিনকে ধন্যবাদও জানান।

Advertisements

সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও চলছে আলোচনা

তবে এই সৌহার্দ্যের আবহে সীমান্ত পরিস্থিতি যে এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়, সেটাও স্পষ্ট। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। লাদাখের অন্তর্ভুক্ত অংশকে নিজেদের ‘নতুন প্রদেশ’ হিসেবে দাবি করে চিন, যা নিয়ে দিল্লির তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

তবু এই অবস্থার মধ্যেও পরপর বৈঠক, বিমান চলাচলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত— সব মিলিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে একটি ইতিবাচক বার্তা যাচ্ছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।