বাদুড়িয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে ধৃত ২২ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী

উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন লবঙ্গ গ্রামে হঠাৎই দেখা গেল একদল অচেনা মানুষের আনাগোনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় শনিবার সকালে ধরা পড়ল ২২ জন…

22 Rohingya Migrants Arrested Near Bangladesh Border in Baduria

উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন লবঙ্গ গ্রামে হঠাৎই দেখা গেল একদল অচেনা মানুষের আনাগোনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় শনিবার সকালে ধরা পড়ল ২২ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী (Rohingya Migrants)। সূত্র মারফত জানা গেছে, এই ২২ জনের মধ্যে রয়েছে শিশুরা, এবং দুইজন অন্তঃসত্ত্বাও রয়েছেন।

Read Hindi: बासीरहाट के बादुरिया में सीमा के पास पकड़े गए 22 रोहिंग्या घुसपैठिये

   

ঘটনাটি ঘটে বাদুড়িয়ার শায়েস্তানগর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লবঙ্গ গ্রামে। আজ সকালে স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন যে, একটি নবনির্মিত বাড়িতে বেশ কিছু অচেনা মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এলাকাবাসী এবং পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা মিলে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য—তারা আসলে রোহিঙ্গা, যারা অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে।

পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন বাদুড়িয়া থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ২২ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু এবং দুইজন গর্ভবতী মহিলা। তাদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার জন্য সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisements

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা প্রায় দশ বছর আগে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করে। মূলত হায়দরাবাদে বসবাস করছিল তারা, এবং সেখানে কাগজ ও প্লাস্টিক ভেঙে পুনর্ব্যবহারের কাজ করত। সাম্প্রতিক কিছু সমস্যার কারণে তারা উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় চলে আসে এবং এই গ্রামে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়।

ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের ওই বাড়ির আশেপাশে যেতে নিষেধ করেছে পুলিশ। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এখানে এল, কারা তাদের আশ্রয় দিয়েছে, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। গোয়েন্দা দপ্তর এবং বিএসএফকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি।

এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আঁচও পড়তে শুরু করেছে। বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।