পহেলগাঁও হামলা নিয়ে আলাদা অধিবেশন নয়, সংসদের বাদল অধিবেশনের দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

সম্প্রতি দেশে ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে  (Monsoon session)  বিরোধীরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন চাইলেও, কেন্দ্র সরকার তা খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী…

Monsoon Session of Parliament Scheduled from July 21 to August 12

সম্প্রতি দেশে ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে  (Monsoon session)  বিরোধীরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন চাইলেও, কেন্দ্র সরকার তা খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, অপারেশন সিঁদুর, (Monsoon session)  পহেলগাঁও হামলা কিংবা পাকিস্তানের(Monsoon session)  লাগাতার জঙ্গি হানার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও বিশেষ অধিবেশন হচ্ছে না। তার বদলে ২১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের নিয়মিত বাদল অধিবেশন, চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।(Monsoon session)  

মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত হয়(Monsoon session)  বাদল অধিবেশনের সময়সূচি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, যিনি পুরো আলোচনায় নেতৃত্ব দেন। তবে বিরোধীদের যে বিশেষ অধিবেশনের দাবি ছিল, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি।(Monsoon session)  মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ নিয়ম মেনেই অধিবেশন চলবে এবং যেকোনও ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে বলে জানান কিরেন রিজিজু। অর্থাৎ বিশেষ করে কোনও এক বিষয়ের উপর আলাদা করে অধিবেশন ডাকার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে কেন্দ্র।(Monsoon session)  

   

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা এবং এরপর ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাল্টা জবাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তার (Monsoon session)  প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি-সহ INDIA জোটের অন্তর্গত ১৬টি বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যৌথভাবে চিঠি দিয়ে দাবি জানায় সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার। তাদের যুক্তি ছিল, এই জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন, এবং সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।(Monsoon session)  

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদেশে যে ৩২ জন সংসদ সদস্যের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল, তারা ফিরে আসার পরই জুন মাসের মাঝামাঝি একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা উচিত। এই প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদতের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার জন্য বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিল।

তবে বিরোধীদের এই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্র। সরকারের মতে, নিয়মিত বাদল অধিবেশনেই এ ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা সম্ভব। তা ছাড়া, সংসদের দুই কক্ষেই আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় বরাদ্দ থাকে। কোনও একটি বিশেষ ইস্যুকে কেন্দ্র করে পৃথক অধিবেশন ডাকার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।(Monsoon session)  

Advertisements

এদিকে বিরোধীরা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদে জবাবদিহি এড়িয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “এই সরকার শুধু আন্তর্জাতিক মঞ্চে শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, অথচ দেশের ভেতরে সংসদে মুখ খোলার সাহস নেই।”(Monsoon session)  

তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র বলেন, “ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ সরকার সংসদের বাইরে থেকে সব কিছু সামাল দিতে চাইছে। এটা সংসদের মর্যাদার বিরুদ্ধে।” DMK-র (Monsoon session)  প্রতিনিধিরা জানান, “আলোচনার মাধ্যমেই গণতন্ত্র মজবুত হয়। আর সেই আলোচনার জায়গাটাই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে জনতার প্রশ্নের উত্তর কোথায় মিলবে?”(Monsoon session)  

তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতে, সরকার কোনও প্রশ্ন থেকে পালাচ্ছে না। বরং বাদল অধিবেশনেই সব প্রশ্নের উত্তর দেবে সরকার। সেই সঙ্গে, রিজিজু স্পষ্ট করেন, “সংসদে আলোচনার কোনও(Monsoon session)  বাধা নেই। বিরোধীরা আলোচনায় অংশ নিলে আমরা সাদরে গ্রহণ করব।”(Monsoon session)  

সব মিলিয়ে, আসন্ন বাদল অধিবেশনেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে সংসদের দুই কক্ষ। বিরোধীরা(Monsoon session)  যেহেতু বারবার পাকিস্তান, জাতীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে(Monsoon session)  , সেখানে সরকারের কী জবাব থাকে সেটাই এখন দেখার। তবে বিশেষ অধিবেশনের দাবিকে আপাতত গুরুত্ব না দিয়ে কেন্দ্র যে বিরোধীদের একপ্রকার বার্তা দিয়ে দিল,(Monsoon session)  তা স্পষ্ট।