পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলে বন্দি রয়েছেন গুজরাটের ১৪৪ জন মৎস্যজীবী। গত দুই বছরে প্রতিবেশী দেশটির নৌবাহিনী তাঁদের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার গুজরাট বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী রাঘবজি পটেল।
বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা অমিত চাভডার প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “এই ১৪৪ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে গত দুই বছরে ২২ জনকে পাকিস্তান আটক করেছে। ২০২৩ সালে ৯ জন ও ২০২৪ সালে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
প্রতি বছর গুজরাটের বহু মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়েন। এরপর পাকিস্তানি নৌবাহিনী তাঁদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। এই পরিস্থিতি বহু বছর ধরে চলে আসছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বন্দি মৎস্যজীবীদের মুক্তির জন্য ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁদের কবে মুক্তি মিলবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রে নির্দিষ্ট জলসীমা নির্ধারণের স্পষ্ট সংকেত না থাকায় প্রায়ই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা অনিচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়েন। এই কারণে তাঁরা প্রায়শই গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকেন।
মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলিও দীর্ঘদিন ধরে ভারত সরকারকে চাপ দিচ্ছে যাতে তাঁদের স্বজনদের দ্রুত মুক্ত করা হয়। তবে এই সমস্যা সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আরও কার্যকর কূটনৈতিক আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।