কাঁথি সমবায় (Central Forces) ব্যাঙ্কের নির্বাচন সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে তীব্র চর্চা চলছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces)মোতায়েনের কারণে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের ময়দানে নামিয়েছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে, যেখানে সাধারণত সমবায় ভোটে স্থানীয় পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করলেও, এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে, কাঁথি সমবায় (Central Forces)ব্যাঙ্কের নির্বাচন রাজ্য রাজনীতির শীর্ষে উঠে এসেছে।
এবারের কাঁথি সমবায় (Central Forces)ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ১০৮টি আসনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪৩০ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে লড়াই করছেন, যেখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০,০০০ জন। ভোটে কারচুরি প্রতিরোধের জন্য বুথে বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি, যা রাজ্যের কোনও সমবায় নির্বাচনে (Central Forces)এই প্রথম। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট কেন্দ্রে পৌঁছানোর ফলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। বিরোধীরা এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পেছনে রাজ্য সরকারের অক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করছে।
কাঁথি মহকুমায় (Central Forces)নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কড়া রাখা হয়েছে। ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, যেখানে আধা সেনা টহল দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশও। ভোট কেন্দ্রগুলির বাইরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রগুলির কাছে কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর কঠোর তদারকি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করছে।
এছাড়া, ভোট কেন্দ্রগুলির মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুসংগঠিত। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য দু’স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটের সামনে পরিচয়পত্র দেখে ভোটারদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে, এবং তার পরবর্তী ধাপে আরও একবার নিরাপত্তা যাচাই করা হচ্ছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভোটারদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি করেছে এবং ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু ও নিরাপদ হয়েছে।
কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ১৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। কাঁথি শহরের পাশের আয়ুর্বেদ কলেজ, ক্ষেত্রমোহন, ব্রাহ্মবালিকা বিদ্যালয়, সহ অন্যান্য সেন্টারগুলিতে গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার ভোটার রয়েছেন। সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে এবং এখানে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে, যাতে কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
এছাড়া, অন্যান্য কেন্দ্রের মতো এই কেন্দ্রগুলোতেও দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। ভোটারদের প্রথমে পরিচয়পত্র দেখে তবেই ভোট কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে, এবং এরপর আরও একবার নিরাপত্তা যাচাই করা হচ্ছে। এর ফলে ভোটাররা নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করছেন।
বিরোধীরা এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খোঁজা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে যদি যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর প্রয়োজন ছিল না। বিরোধীরা মনে করেন, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে, এবং এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের অক্ষমতা প্রকাশিত হচ্ছে।