প্রায় তিন মাস হতে চলছে আরজি করের মর্মান্তিক হত্যার ঘটনার। গত ৯ অগস্ট রাতে মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করে হাসপাতালে কর্তব্যরত কিছু দুষ্কৃতী। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যের চিকিৎসকমহল রাস্তায় নেমে রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয় ডাক্তারেরা। সেই সময় কুনাল ও অরূপ চক্রবর্তীর মতো তৃণমূলের (TMC)নেতারা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ‘নকশাল যোগ’-এর অভিযোগ তুলে সরব হলেও নীরব ছিলেন দলের ‘সিনিয়র’ নেতারা।
দীপাবলির বঙ্গে সাড়ে আট হাজার কোটির বাজি বিক্রি
এবার প্রায় তিন মাস পর আন্দোলনের তেজ যখন অনেকটাই নিভু নিভু তখনই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের মতো প্রবীন নেতারা।
পাটুলিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত কিশোর, তদন্তে নামল পুলিশ
রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এতদিন তাঁরা মুখ খোলেননি বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ দমদম সৌগত রায়ের লোকসভা কেন্দ্র, অন্যদিকে শোভনদেব খড়দহের বিধায়ক। নির্যাতিতার বাড়ি সোদপুরে। যা খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত এলাকা। অর্থ্যাৎ প্রথম থেকে ওই আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুখ খুললে আসন্ন উপনির্বাচনের আগে তা হিতে বিপরীত হত বলেই মনে করছে দল। তাই আন্দোলনের গতিবেগ একটু স্তিমিত হতেই এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যানেরা।
পাটুলিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত কিশোর, তদন্তে নামল পুলিশ
একই সঙ্গে শোভনদেবের কথায় এটাও স্পষ্ট যে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে তিনি আর এখন ততটা ‘আমল’ দিচ্ছেন না। কারণ, তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই ডাক্তারবাবুরা আন্দোলন করে আমাদের কত শিক্ষা দেবে? রাত দখল, দিন দখল, দুপুর দখল— কত কিছু দখল হয়ে গেল! আজ মানুষ বুঝতে পেরে গিয়েছে, ডাক্তারবাবুরা কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে। তবে তৃণমূলের অনেকে এ-ও মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, গোড়ার দিকে অনেকে মুখ খুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চ্যানেলে গিয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার-সহ অনেকের বক্তব্য দলের জন্য ‘অস্বস্তি’ তৈরি করে। যা মোটেও সুবিধাজনক অবস্থায় দাঁড় করায়নি রাজ্যের শাসকদলকে।