চেন্নাইয়ের একটি স্কুলে গ্যাস লিকের (Chennai School Gas Leak) সন্দেহে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল এবং সব ছাত্রছাত্রীই নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবক ও স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।
এনডিআরএফ কমান্ডার এ কে চৌহান জানিয়েছেন, “এখনও সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। আমরা সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছি। আমাদের দল এসে পুরো এলাকা পরীক্ষা করেছে এবং সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা কোনও গ্যাসের গন্ধ পাইনি।” তবে, সতর্কতা অবলম্বন করেই কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এনডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গ্যাস লিকের কারণেই ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ বোধ করতে পারে। তবে, কোনও বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়েছে কি না, তা স্পষ্টভাবে জানাতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই স্কুলটির অধ্যক্ষ এক বিবৃতিতে জানান, সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সন্দেহজনক গ্যাস লিকের খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী, পুলিশ, এবং মেডিকেল টিম পৌঁছে যায়। ছাত্রছাত্রীরা শ্বাসকষ্ট ও বমির মতো সমস্যা অনুভব করছিল, যার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রছাত্রীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে এবং এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে, ছাত্রছাত্রীদের পরিবার ও অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত সঠিক কারণ জানার দাবি জানিয়েছেন এবং এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন যে, স্কুলে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা জরুরি।
এই ঘটনার পর থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।