বিদেশে গিয়ে মুখ পুড়ল। মুখে কালি মাখিয়ে দেশে ফেরাল। অতিরিক্ত পাওনা চরম হেনস্থা। নেপালে গিয়ে এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে একদল ভারতীয়কে। কালিমাখা মুখ নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে।
কয়েকজন নয়। কমপক্ষে ৫০ জনকে এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা কোনও সাধারণ হেনস্থা বা দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নয়। পিছনে রয়েছে বড় কারণ। ধর্মান্তরকরণ।
নেপাল পুলিশের দাবি, একদল ভারতীয় ধর্মান্তরের উদ্দেশে নেপালের মহেশপুরে যায়। মোট দুটি বাসে করে তারা সীমান্ত পার করে। সবাই খ্রিষ্টান মিশনারির সদস্য। নেপালে ধর্ম প্রচার ছিল তাঁদের লক্ষ্য। অর্থাৎ ধর্মান্তর। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা।
এই লক্ষ্য নিয়েই তাঁরা নেপালে যান। ভারত থেকে নেপালে যেতে ভিসা লাগে না। তেমন কড়াকড়িও নেই। তাই সহজেই সীমান্ত পার করেছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন পরের কাজও খুব সহজ হবে। কিন্তু তা হয়নি। ধর্মান্তর করতে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। মিশনারির সদস্যদের মুখে কালি লেপে দেন স্থানীয়রা। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। দুই বাস এবং বাসের যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে ভারতে ফেরত পাঠায়।
ধর্মান্তর করতে গিয়ে মিশনারির সদস্যরা হেনস্থার শিকার। এমন ঘটনা নতুন নয়। ভারতের নানা প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ভারতে এমন একদলকে জুতো পেটা করেন স্থানীয়রা। আবার কেরল থেকে বাংলায় ধর্মান্তরিত করতে এসে বিপাকে পরেন কয়েকজন মিশনারিজ। পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁদের আটকে রাখা হয়। আন্দামানেহ জারোয়াদের দ্বীপে ধর্মান্তর করতে গিয়ে এক খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারকের প্রাণও গিয়েছে। তবে মুখে কালি লেপার ঘটনা আগে শোনা যায়নি।