ছেঁড়া কাপড়ের রাস্তায় ধারে বসে থাকা ভিক্ষুকেরাই আর্থিক মানদন্ডের বিচারে মূলত সমাজের সবথেকে নিম্নশ্রেনীর মানুষ হন। ভিক্ষা করেই যাদের দিন আনি দিন খাই চলে। এমন ধরনের ভিক্ষুকদের আমরা সকলেই চিনি।রাস্তাই যাদের উপার্জনের একমাত্র পথ ও পন্থা
কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি করেও যে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া যায়, তা কখনও ভেবেছেন কি? সেটাই করে দেখিয়েছেন মুম্বইয়ের ভরত জৈন (Bharat Jain)। সারা দেশের শুধু নয়, গোটা পৃথিবীর ধনীতম ভিক্ষুক (
World richest begger) তিনিই। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বহুবার ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়ার কথা বলেছে। তবুও এই পেশা ছাড়তে নারাজ তিনি।
BJP: শুধুই নারী ধর্ষণ নয়, আরও কি কি করতেন? বিস্ফোরক অভিযোগ অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে!
ছোটবেলায় পরিবারে আর্থিক অনটনে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি ভরত। ছোট থেকেই ভিক্ষা করা শুরু করেন। সময় যত এগিয়েছে, তাঁর প্রাপ্তির তালিকা তত বেড়েছে। বিয়ের পর দুই সন্তানের বাবা তিনি। ভিক্ষা করেই বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি টাকা। মুম্বইয়ের প্যারেলে ১.৪ কোটি টাকার দুইটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের থানে এলাকায় আরও দুইটি দোকান রয়েছে। যেখান থেকে মাসিক ৬০ হাজার টাকা ভাড়া পান।
ভয়ঙ্কর কাণ্ড! নীতীশ কুমারের অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আল কায়দার, তদন্তে পুলিশ
মূলত ছত্রপতী শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস রেল স্টেশন, আজাদ ময়দান এলাকায় ভিক্ষা করেন ভরত। এভাবে মাসিক ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা উপার্জন করেন। থাকেন প্যারেলের একটি ফ্ল্যাটে। নিজের পড়াশোনার সুযোগ ছিল না। তাই উপার্জন করে সন্তানদের লেখাপড়া করাতে কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন ভরত।
হু হু করে নাগরিকত্ব ছাড়ছে ভারতীয়রা, চিন্তায় কেন্দ্র
বাড়ির বাকি সদস্যরা ওই এলাকার দোকানে কাজ করে উপার্জন করেন। বাড়ির সদস্যরা ভরতকে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়ার অনুরোধ করেছেন বহুবার। সে অনুরোধে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেননি। বরং ভিক্ষাবৃত্তি করেই স্বচ্ছল জীবনযাপন করতে চান তিনি।